Skip to main content

পবিত্রতা প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৪৮ টি - দলিল সহ


০১ প্রশ্ন: ফরয গোসলে নাকে পানি দেওয়ার বিধান কি ?

উত্তর: ফরয গোসলে নাকে পানি দেওয়া ফরয।  
(শামী ১/৩১১, বাদায়েউসসনায়ে ১/১৪২, হাক্কানীয়া ২/৫২১)

০২ প্রশ্ন: অনেকে বলে থাকেন, অজু করে কাপড় দিয়ে হাত মুখ মোছা উচিৎ নয়, এতে সওয়াব কমে যায়, কথাটি কি সঠিক ? অজুর পর হাতমুখ মোছার বিধান কি ? জানালে কৃতঙ্গ থাকব। 

উত্তর: অজুর পর কাপড় দিয়ে হাত মুখ মোছাতে কোন সমস্যা নেই, বরং কেউ কেউ একে অজুর আদব এবং মুস্তাহাব হিসেবে উল্লেখ করেছেন, সুতরাং যারা বলে যে অজু করে কাপড় দিয়ে হাত মুখ মোছা উচিৎ নয়। এতে সওয়াব কমে যায় তাদের এ কথা সঠিক নয়। 
(শামী ১/২৭৯, হিন্দীয়া ১/৬৫, দারুল উলুম ১/১৩১ )

০৩ প্রশ্ন: আমি মেহেদী পাতা বেটে হাতে দেই পরবর্তিতে আমার মেয়ে জানায় মেহেদীর মধ্যে নাপাক পানি পড়ে তা নাপাক হয়ে গেছে, এখন আমার জানার বিষয় হল নাপাক মেহেদী দ্বারা হাত রঙ্গিন করার পর হাত পবিত্র করার পদ্ধতি কি।

উত্তর: নাপাক মেহেদী দ্বারা হাত রঙ্গিন করার পর পরিষ্কার পানি বের হওয়া পর্যন্ত হাত ধৌত করলে হাত পবিত্র হয়ে যায়। যদিও রং বাকি থাকে।
(শামী ১/৫৯০,  হিন্দীয়া ১/৯৬, ক্বাযীখান ১/১৬ )

০৪ প্রশ্ন: আমাদের বাড়িতে একটি খাবারের পাত্রে কুকুর মুখ দেয়। পাত্রটি পাক করার পদ্ধতি জিজ্ঞেসা করলে কেউ বলেন, সাত বার ধুলে পরে পাক হবে। কেউ বলেন অষ্টমবার মাটি ব্যবহার করলে হবে। কেউ বলেন তিনবার ধুলেই চলবে। এখন আমার জানার বিষয় হল, পাত্রটি পাক করার সঠিক মাসআলা কোনটি।

উত্তর: পাত্রটি পাক করার সঠিক মাসআলা হচ্ছে, তিনবার ধৌত করার মাধ্যমে পাত্রটি পাক হয়ে যাবে। ( হিন্দীয়া ১/৭৬, বাদায়েউসসনায়ে ১/২০২, হাক্কানিয়া ২/৫৭৪ )

০৫ প্রশ্ন: অযুতে হাত পায়ের আঙ্গুল সমূহ খিলাল করার বিধান কি ?

উত্তর: স্বাভাবিক আবস্থায় অযুতে হাত পায়ের আঙ্গুল সমূহ খিলাল করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা তবে যদি আঙ্গুলগুলো মিলানো থাকে তাহলে খিলাল করা ওয়াজিব।
( শামী ১/২৫৬, হিন্দীয়া ১/৫৭, আহসানুল ফাতওয়া ২/১৩  )

০৬ প্রশ্ন: অজু ও গোসলের তায়াম্মুমের মধ্যে কি পার্থক্য আছে ? অর্থাৎ অজুর তুলনায় গোসলের তায়াম্মুম কি দীর্ঘ ? নাকি উভয়টি বরাবর । 

উত্তর: না, অজু ও গোসলের তায়াম্মুমের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, উভয়টি বারাবর । 
( বাদায়েউসসনায়ে ১/৭৯, হিন্দীয়া ১/২৬ )

০৭ প্রশ্ন: তেলের মধ্যে নাপাকি পড়লেতা পবিত্র  করার পদ্ধতি কি ? 

উত্তর: নাপাক তেল পবিত্র করার পদ্ধতি হচ্ছে , তা কোন একটি পাত্রে রেখে তাতে সমপরিমাণ পানি ঢেলে দিবে। এরপর তা নাড়াচাড়া দিবে অথবা আগুনে ফুটাবে, যাতে তেল পানির উপরে চলে আসে। যখন তেল পানির উপরে চলে আসবে,তখন কোন কিছু দিয়ে তা তুলে নেবে এবং পানিটুকু ফেলে দিবে। অথবা পাত্রটির নিচে ছিদ্র করা থাকলে তাখুলে দেবে, যাতে পানিটুকু বেরিয়ে যায়। এভাবে তিন বার করলে তেল পবিত্র হয়ে যাবে। 
(হিন্দীয়া ১/৪২, মাহমুদীয়া ৮/২৬২)                                     

০৮ প্রশ্ন: আমি অযু করার জন্য পুকুর থেকে এক বদনা পানি এনে সিড়ির উপর রাখি।একটু পরেই একটি বিড়াল তা থেকে কিছু পানি পান করে। অবশিস্ট পানি দ্বারা অযু করা সহিহ আছে কি ? 

উত্তর:প্রশ্নে বর্নিত অবশিস্ট পানি দ্বারা অযু করা মাকরুহে তানযীহী। কেননা পুকুরে আরো পানি আছে যার দ্বারা অযু করা যাবে।  ( হিন্দীয়া ১/২৪, বাদায়েউসসনায়ে ১/২০৪ )

০৯ প্রশ্ন: ঘাস, গাছের পাতা ইত্যাদি দ্বারা ইস্তেঞ্জা করার বিধান কি ? 

উত্তর: ঘাস, গাছের পাতা ইত্যাদি দ্বারা ইস্তেঞ্জা করা মাকরুহে তাহরীমী।
( ১: শামী ১/৫৫১-৫৫৩ , ২: হিন্দীয়া ১/৫০ , ৩: হাক্কানিয়া ২/৫৯৪ )
১০ প্রশ্ন: আমাদের মসজিদের ফ্লোর মার্বেল পাথরের। ধুয়ে মুছে সাফ করে পরিপূর্ণ পরিষ্কার অবস্থায় এর উপরে হাত মেরে তায়াম্মুম করলে তায়াম্মুম সহিহ হবে কি ? 

উত্তর: ধুলা বালিহীন মার্বেল পাথরের উপর হাত মেরে তায়াম্মুম করলেও তায়াম্মুম সহিহ হবে।
( হিন্দীয়া ১/২৬-২৭, তাতারখানীয়া ১/৩৭৪, দারুল উলুম ১/২৪৪ )

১১ প্রশ্ন:  বেহুশ হয়ে গেলে কি - অজু ভেঙ্গে যায় ? 

উত্তর: হ্যাঁ, বেহুশ হয়ে গেলে অজু ভেঙ্গে যায়। ( হিন্দীয়া ১/১২, ফাতহুল কাদীর ১/৩৮-৫১ )

১২ প্রশ্ন: ঘুমন্ত ব্যক্তির মুখ থেকে যদি দুর্গন্ধময় লালা বের হয়ে কাপড়ে লাগে, তবে সে কাপড়ে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হবে  কি ?

উত্তর: ঘুমন্ত ব্যক্তির মুখের দুর্গন্ধময় লালা কাপড়ে লাগলে, সে কাপড় পরে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হয়ে যাবে, কেননা তা পবিত্র।  ( হিন্দীয়া ১/৪৬, ক্বাযীখান ১/১৭, হাক্কানিয়া ২/৫৬৯ ) 
১৩ প্রশ্ন: তায়াম্মুমের মধ্যে কয়টি অঙ্গ মাসেহ করতে হয় ?

উত্তর: তায়াম্মুমের মধ্যে দুইটি অঙ্গ মুখমন্ডল ও উভয় হাত মাসেহ করতে হয়।
( হিন্দীয়া ১/৯৬, হেদায়া ১/৫০ )

১৪ প্রশ্ন: ডিটারজেন্ট পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে অযু করা সহিহ হবে কি ?
তায়াম্মুমের মধ্যে কয়টি অঙ্গ মাসেহ করতে হয়

উত্তর: ডিটারজেন্ট পাউডার মিশ্রিত হওয়ার দ্বারা যদি পানির তিন গুন অর্থ্যাৎ রং , গন্ধ , স্বাদ থেকে একটি দূর হয়ে যায় আর দুইটি বাকি থাকে তাহলে সে পানি দ্বারা অযু সহিহ হবে।
( বাদায়েউসসনায়ে ১/৯৪, হিন্দীয়া ১/৩৪ )

১৫ প্রশ্ন: আমি জানি যে, চামড়ার মোজায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ফাটা থাকলে তার উপর মাসেহ ছহিহ হবে না । কিন্তু আমার জানার বিষয় হল , যদি উভয় মোজা ফাতা থাকে তাহলে মাসেহের ক্ষেত্রে  উভয় মোজার ফাটল কে এক সাথে হিসাব করা হবে? না কি দুটি কে ভিন্ন ভিন্ন হিসাব করা হবে?

উত্তর: ফাটলযুক্ত মোজার উপর মাসেহ করার ক্ষেত্রে উভয় মোজার ফাটল কে এক সাথে হিসাব করা হবে না। বরং দুটিকে ভিন্ন ভিন্ন হিসাব করতে হবে। ( শামী ১/৪৬০, হিন্দীয়া ১/৩৪ )

১৬ প্রশ্ন: সড়ক দুর্ঘটনায় আমার ছোট ভাইয়ের হাত ভেঙ্গে যায়, এরপর সেখানে অপারেশন করতে হয়। অপারেশনের পর তার অর্ধহাত ব্যান্ডেজ অবস্থায় আছে। অযু অথবা ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে সে কিভাবে পবিত্রতা হাছিল করবে ? এমতাবস্থায় সে তায়াম্মুম করতে পারবে কি না ?                      

উত্তর: অযু এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে সে ব্যাণ্ডেজের উপরে মাসেহ করবে। অন্যান্য অঙ্গ সমূহ পানি দ্বারা ধৌত করবে। এক্ষেত্রে তার জন্য তায়াম্মুম করা সহীহ হবে না। 
( শামী ১/৪৭২, হিন্দীয়া ১/৩৫ )

১৭ প্রশ্ন: তিনবার মাথা মাসেহ করার বিধান কি ?
                            
উত্তর: সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা সুন্নাত। একের অধিক মাসেহ করা মাকরুহ।
( বাদায়েউসসনায়ে ১/৬৯, হিন্দীয়া ১/৯ )

১৮ প্রশ্ন: আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে, দুগ্ধপোষ্য শিশুর পেশাব পাক, প্রকৃত মাসআলা কি এমন ? দয়া করে সঠিক মাসআলা জানিয়ে বাধিত করবেন।                             

উত্তর: দুগ্ধপোষ্য শিশুর পেশাব নাপাক। ( শামী ১/৫৭৪, হিন্দীয়া ১/৪৬,  মাহমুদীয়া ১/২৬৭ )                                                      

১৯ প্রশ্ন: আমার রাত্রে স্বপ্নদোষ হয়েছে। তা ভাল ভাবেই জানা আছে, তবে ঘুম থেকে উঠে কোথাও কোন চিহ্ন দেখতে পাইনি। এমতাবস্থায় কি গোসল ফরজ।
                             
উত্তর: উল্লিখিত অবস্থায় আপনার উপর গোসল ফরজ নয়। 
( হিন্দীয়া ১/৬৬, বাদায়েউসসনায়ে ১/১৪৯ )

২০ প্রশ্ন: আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে, দুগ্ধপোষ্য শিশুর বমি পাক। প্রকৃত মাসআলা কি এমন ? দয়া করে সঠিক মাসআলা জানিয়ে বাধিত করবেন।
                           
উত্তর: দুগ্ধপোষ্য শিশু যদি মুখ ভরে বমি করে তাহলে তা নাপাক। আর যদি মুখ ভরে বমি না করে তাহলে তা পাক।  (বাদায়েউসসনায়ে ১/১৩২, হিন্দীয়া ১/৬২, হাক্কানিয়া ২/৬০৭)

২১ প্রশ্ন: অজু করার সময় কি কথা বলা মাকরুহ ?                        

উত্তর: প্রয়োজন ব্যতীত অজু করার সময় কথা কলা মাকরুহ। প্রয়োজনের সময় কথা বলা বৈধ।
(বাদায়েউসসনায়ে ১/১১৭, তাতারখানীয়া ১/২২৭, হাক্কানিয়া ২/৫০৮)

২২ প্রশ্ন: অনেক সময় দেখা যায় অজুর পাত্রে মুখমণ্ডল বা হাত থেকে ব্যবহৃত পানি পড়ে। এতে অজুর ক্ষতি হবে কি ?
                           
উত্তর: অজুর পাত্রে মুখমন্ডল বা হাত থেকে ব্যবহৃত পানি পড়লে পাত্রের পানি দ্বারা অজুর কোন ক্ষতি হবেনা। অজু করা বৈধ হবে। কারন পাত্রে ব্যবহৃত পানি অব্যবহৃত পানির চেয়ে অনেক কম এই কারণে ব্যবহৃত কম পানি অব্যবহৃত বেশী পানিকে নাপাক করবেনা।
( শামী ১/১৮১-১৮২, তাতারখানীয়া ১/৩৪৫, মাহমুদীয়া ৮/২৫ )

২৩ প্রশ্ন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে সাধারনত ভুল সংশোধনের জন্য এক ধরনের সাদাকালি ব্যবহার করাহয়। এই কালি অজুর কোন অঙ্গে লেগে থাকা অবস্থায় অজুকরে নামায পড়লে নামাজ আদায় হবে কি ?
                            
উত্তর: সাদা কালি অজুর অঙ্গে লেগে থাকা অবস্থেয় অজু করলে অজুর পানি শরিরের চামড়া পর্যন্ত পৌঁছেনা বিধায় অজু হবে না। আর এই অজুর দ্বারা নামায আদায় করলে নামায ও হবে না।
( মারাকীউল ফালাইন ৬২, তাতারখানীয়া ১/২৭৭-২৭৮, হাক্কানিয়া ২/৫০১ )

২৪ প্রশ্ন: কাপড় পাক করার জন্য তিনবার ধৌত করা কি শর্ত ? তিনবারের কম ধুলে কি কাপড় পাক হবে না ? যদিও ময়লা দূর হয়ে যায়।
                          
উত্তর:  কাপড়ে যদি এমন নাপাকী লাগে যা দৃশ্যমান তাহলে তা পবিত্র করার ক্ষেত্রে ধোয়ার সংখ্যা দির্ধারীত নয় বরং নাপাকী দূর করা শর্ত চাই একবার ধোয়ার দ্বারা নাপাকী দূর হোক অথবা অকাধিক বার। আর যদি নাপাকী এমন হয় যা দূশ্যমান নয় তাহলে উক্ত কাপড় তিনবার ধোয়া শর্ত এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নিতে হবে। তবে যদি ধোয়ার ক্ষেত্রে এমন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে যার কারণে একবার ধোয়ার দ্বারা নাপাকী দূরহয়ে যাওয়ার একীন হয়, যেমন: সাবান ব্যবহার করা অথবা ঝর্না, ট্যাপ, পুকুর বা নদীতে ধোয়া তাহলে একবার ধোয়াই যথেষ্ট । (শামি ১/৫৮৯, হিন্দিয়া ১/৯৬, হাক্কানিয়া ২/৫৭৪)

২৫ প্রশ্ন: অজুর সময় থুথনীর নিচের অংশও কি ধোয়া জরুরী। যদি এ অংশ পুরোপুরি না ধৌত করে তাহলে তার অজু কি সহীহ হবে ?
                            
উত্তর: অজুর সময় থুথনীর নিচের অংশ ধৌত করা জরুরী নয়। কেউ যদি এ অংশ পুরোপুরি ধৌত না করে তাহলেও তার অজু সহীহ হয়ে যাবে। (হিন্দীয়া ১/৫৩, বাদায়েউসসনায়ে ১/৬৬)

২৬ প্রশ্ন: যোহরের নামাযের জন্য অযু করে মসজিদে প্রবেশ করার সময় সিড়িতে আঘাত লেগে আমার পায়ে সামান্য ছিলে যায় এবং রক্ত বের হয়। গড়িয়ে পড়ার আগেই আমি তা টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে ফেলি। এতে কি আমার অযু ভেঙ্গে যাবে ?
                           
উত্তর: টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে ফেলা রক্তের পরিমাণ যদি এমন হয় যে, যদি তা মুছে ফেলা না হত তবে তা গড়িয়ে পড়ত, তাহলে অজু ভেঙ্গে যাবে, অন্যথায় অজু ভাঙবে না।
(হিন্দীয়া ১/১১, বাদায়েউসসনায়ে ১/১২৪, মাহমুদিয়া ৮/১৩৯)

২৭ প্রশ্ন: মশা বা মাছি যদি এতো পারিমান রক্ত খায় যে তা বাহিরে পড়লে গড়িয়ে যেত। এতে অযু ভাঙবে কি ?
                            
উত্তর: মশা বা মাছি গড়িয়ে পড়া পরিমাণও যদি রক্ত খায় তবুও এতে অযু ভাঙবে না।
(আত দারুল মুখতার ১/২৬৮, হিন্দীয়া ১/১১)

২৮ প্রশ্ন: উওর মেরুর দেশ গুলোতে এতপরিমাণ আর্দ্রতা যে মাঝে মাঝে দাড়িতে বরফ জমে যায়। উক্ত বরফ মুখমণ্ডল ও হাত পায়ে ডলে নিলে অযু হবে কি ?
                            
উত্তর: দাড়িতে জমা বরফ যদি গলে এ পরিমাণ পানি হয় যে তা হাত পায়ে ডলে নিলে এক দু’ফোটা পানি হাত, পা ও মুখমণ্ডল থেকে পড়ে তাহলে অযু সহিহ হবে।
(দুররুল মুখতার ১/৩৩৩-৩৩৪, বাযযাজীয়া ১/৯, আল বাহরুর রায়েক ১/১২২-১২৪)

২৯ প্রশ্ন: আমার এক পরিচিত ব্যক্তির একটি সমস্যা হল, তার কিছুক্ষণ পর পর পেশাবের রাস্তা দিয়ে দুই এক ফোটা পেশাব বের হয়, এমতাবস্থায় সে কিভাবে নামায আদায় করবে ?
                            
উত্তর: আপনার পরিচিত ব্যক্তি যদি কোন এক নামাযের ওয়াক্তের মধ্যে, এতটুকু সময় না পায় যে সে অযু করে ফরয নামায আদায় করবে, বরং পেশাবের ফোটা আসতেই থাকে, তবে সে মাযুর। আর মাযুরের হুকুম হল প্রত্যেক ওয়াক্তে ফরয নামাযের জন্য অযু করবে এবং সে অযু দ্বারা ওয়াক্তের মধ্যে যত প্রকার নামায রয়েছে তা আদায় করতে পারবে। তাই আপনার পরিচিত লোকটিও উক্ত হুকুম অনুযায়ী নামায আদায় করবে।
(হিন্দীয়া ১/৪১, দারুল মুখতার ১/৫০৪-৫০৫, মাহমুদীয়া ৮/২৩২)

৩০ প্রশ্ন: অসুস্থতার কারণে যদি চোখ থেকে পানি বের হয় তাহলে অযু করা লাগবে কি ?
                            
উত্তর: অসুস্থতার কারণে যদি চোখ থেকে পানি বের হয় তাহলে অযু করতে হবে।
(দারুল মুখতার ১/২৭৯, মাহমুদীয়া ৮/১৩৬)

৩১ প্রশ্ন:মোবাইল ফোনে তরল নাপাক যেমনঃ রক্ত বা পেশাব লেগে গেলে পাক করার উপায় কি?                             
উত্তর: মোবাইল ফোনে তরল নাপাক যেমন: রক্ত, পেশাব, ইত্যাদি যদি এমন জায়গায় লেগে যায় যেখানে মোছা সম্ভব তাহলে মোছার দ্বারা তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি মোছা অসম্ভব হয় যেমন: স্পিকার, বাটন, ইত্যাদি তে লেগে যায় তখন তা পবিত্র করতে হলে ধুতে হবে। যদিও ধোয়ার দ্বারা মোবাইল নষ্ট হয়ে যায়। আরযদি না ধোয়া হয় তাহলে মোবাইল নাপাকই থেকে যাবে। (হেদায়া ১/৭৩, কাযিখান ১/১৫)

৩২ প্রশ্ন: রাস্তার পাশের গাছপালার পাতা গুলোতে অনেক ধুলাবালি পড়ে থাকে। এই পাতার উপর হাত মেরে তায়ামুম করলে তায়াম্মুম ছহীহ হবে কি ?
                           
উত্তর: গাছের পাতায় গুলাবালি পড়লে তার উপর হাত মেরে তায়াম্মুম করলে তায়াম্মুম ছহীহ হয়ে যাবে। (হিন্দীয়া ১/২৭, বাদায়েউসসনায়ে ১/১৮২, দারুল উলুম ১/২৪৪)

৩৩ প্রশ্ন: আমি অজু করে মসজিদের দিকে রওনা হই, হঠাও একটি ব্যাঙ আমার সামনে দিয়ে লাফ দেয় এবং পেশাব করে দেয় যা আমার পায়ে লাগে। আমার জানার বিষয় হলো, ব্যাঙের পেশাব কি নাপাক এবং তা ধুয়ে নামাজ পড়তে হবে ?

উত্তর: ব্যাঙের পেশাব নাপাক এবং তা ধুয়ে নামাজ পড়তে হবে।
(তাতারখানীয়া ১/৪৩৯, হাক্কানিয়া ২/৫৮৪)

৩৪ প্রশ্ন: তৈলাক্ত কোন নাপাক বস্তু যদি শরীরে লাগে তবে কি তিনবার ধোয়ার দ্বারাই পবিত্র হয়ে যাবে ? যদিও সাবান ব্যবহার করে তৈলাক্ত ভাব দুর না করা হয় ?

উত্তর: তৈলাক্ত কোন বস্তু শরীরে লাগার পর তিনবার ধোয়ার মাধ্যমে শরীর পবিত্র হয়ে যাবে। যদিও সাবান ব্যবহার না করে তৈলাক্ত ভাব দুর করা হয়।
(শামী ১/৫৯৭, হিন্দীয়া ১/৯৬-৯৭)

৩৫ প্রশ্ন: পুরুষের ন্যায় মহিলাদের ও কি মেসওয়াক করা সুন্নাত ? মহিলাদের মেসওয়াক সম্পর্কে হাদীস শরীফে কি কোন প্রমান পাওয়া যায় ?

উত্তর: মেসওয়াক করা পুরুষ মহিলা সকলের জন্যই সুন্নাত। মহিলাদের মেসওয়াক সম্পর্কে হযরত আবু-হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সঃ) কে বলতে শুনেছি যে তিনি বলেছেন, যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টের আশঙ্কা না হত তাহলে আমি তাদেরকে প্রত্যেক অযুর সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম। অপর বর্ণনায় রয়েছে হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেসওয়াক করে আমার নিকট তা ধৌত করার জন্য দিতেন। আমি তা দিয়ে মেসওয়াক করে এবং ধৌত করে তা তাহাকে দিয়ে দিতাম। আবু দাউদ শরীফ খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৭ । (সুনানে আবু দাউদ ১/৮, হিন্দীয়া ১/৭, মাহমুদীয়া ৮/১২০)

৩৬ প্রশ্ন: শীতকালে অনেককে দেখা যায় অজুর পূর্বে অঙ্গ সমূহ ভিজিয়ে নেয়। শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা কেমন ?

উত্তর: শীতকালে অযু করার পূর্বে অযুর অঙ্গ সমূহ ভিজিয়ে নেয়ায় কোন সমস্যা নেই। যেহেতু শীতকালে অঙ্গ সমূহে শুষ্কতা বেশি থাকে সহজে ভিজেনা। আর ভিজানোর দ্বারা তা নরম হয়ে যায়। তবে এটা কোন সুন্নাত বা মুস্তাহাব আমল নয়। 
(হিন্দীয়া ১/৫৯, বাদায়েউসনায়ে ১/৬৬, হাক্কানিয়া ২/৫০৬)  

৩৭ প্রশ্ন: শীতকাল আসলে আমার হাত-পা ফেটে যায়। তাই বেশী করে তৈল বা লোশন মাখতে হয়। অজুর সময় পানি  তৈল বা লোশনের উপর দিয়ে গড়িয়ে যায়। প্রশ্ন হলো, এভাবে অজু সহীহ হবে কি ?
উত্তর: এভাবে অজু করলে অজু সহীহ হয়ে যাবে। 
(শামী ১/৩১৬-৩১৭, তাতারখানীয়া ১/২০৫, আপকে মাছায়েল ২/৪৪)

৩৮ প্রশ্ন: কবুতরের পায়খানা পবিত্র বলে অনেকের মুখে শুনেছি। প্রকৃতপক্ষে সঠিক মাসআলা কি? জানালে কৃতঙ্গ থাকিব।
উত্তর: কবুতরের পায়খানা পবিত্র। (শামী ১/৫২৫, বাদায়েউসসনায়ে ১/১৯৭, হিন্দীয়া ১/৪৬)

৩৯ প্রশ্ন: আমার লুঙ্গিতে এক ফোটা পেশাব লেগে যায়, কিন্তু স্থান নির্দিষ্ট করতে না পারায় আমি দ্বিধাদন্ধে পড়ে যাই যে, কি ভাবে পরিত্রতা অর্জন করবো ? সাধারন একজন দ্বীনদার লোকের কাছে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এমন অবস্থায় লুঙ্গির যে কোন অংশ থেকে চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গা ধুয়ে নিলে লুঙ্গি পবিত্র হয়ে যাবে, জনাবের নিকট আমি জানতে চাই, উক্ত ব্যক্তির কথা সঠিক কিনা ? না হলে এমতাবস্থায় কাপড় পবিত্র করার পদ্ধতি কি?

উত্তর: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির কথা সঠিক নয়, কাপড় পবিত্র করতে হলে আপনাকে পূর্ন কাপড় ধৌত করতে হবে। (ফাতহুল কাদির ১/১৯৩, হাক্কানিয়া ১/১৯২, বাহরুররায়েক ১/৩৮৩)

৪০ প্রশ্ন: ছাদের উপরের পানির ট্যাঙ্কিতে ইদুর পড়ে মারা যাওয়ার কারণে যদি পানি নাপাক হয়ে যায়, তাহলে তা পবিত্র করার উপায় কি ?

উত্তর: প্রথমে ট্যাঙ্কি থেকে মৃত ইদুরটি ফেলবে। এরপর ট্যাঙ্কির সাথে সম্পৃক্ত মটরটি চালু করে দিয়ে বা অন্য কোন উপায়ে ট্যাঙ্কির ভিতর পানি প্রবেশ করাবে, এবং ট্যাঙ্কির অপর দিকের সাথে সম্পৃক্ত কলগুলো ছেড়ে দিবে। এতে এক দিক থেকে পানি প্রবেশ করে ততক্ষনাৎ অপর দিক থেকে বের হয়াতে তা প্রবাহিত পানি হিসাবে গন্য হবে। এবং এতে পানির ট্যাঙ্কি পবিত্র হয়ে যাবে। ট্যাঙ্কিতে যে পরিমাণ নাপাক পানি ছিল, তিনবার সে পরিমাণ পানি বের হওয়া শর্ত নয়।
(শামী ১/৩৪৫, হিন্দীয়া ১/১৭, তাতারখানিয়া ১/৩০৭)
  
৪১ প্রশ্ন: কুফফারদের ব্যবহিত কাপড় – চোপড় ও অন্যান্য সামগ্রী যথা বিছানার চাদর, কার্পেট না ধুয়ে ব্যভার করার হুকুম কি ?

উত্তর: কুফফারদের পাত্র সমূহ না ধূয়ে পানাহারের কাজে ব্যভার করা মাকরুহ, যদি তা নাপাক বলে জানা না যায়। এ সত্ত্বেত্ত যদি কেউ না ধুয়ে ব্যভার করে, তা জায়েজ এবং  সে হারাম পানাহার কারী হবেনা, তবে নাপাক হিসাবে জানার পর তা ব্যভার-করা জায়েজ নেই এবং তাতে খাবার গ্রহন-কারি হারাম পানাহার-কারী সাব্যস্ত হবে। আর তাদের লুঙ্গি, পায়জামা, প্যান্ট বা অন্য কাপড় ব্যভারের বিধান তাদের পাত্রের ব্যবহারের ন্যায়। যদি তা নাপাক না-জানা যায়, তাতে নামাজ আদায় করা মাকরুহ হবে। তা সত্ত্বেত্ত আদায় করলে জায়েজ হবে। তবে নামাজ ছাড়া অন্য সময় তাদের কাপড় ব্যবহারে কোন অসুবিধা নেই।
(বাদায়েউসসানায়ে ১/২৩৬, হিন্দীয়া ৫/৩৪৭, তাতারখানিয়া ১৮/১৬৫)
৪২ প্রশ্ন: সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা হলে মহিলার নেফাসের হুকুম কি ?
উত্তর: সিজারের মাধ্যমে যদি অস্ত্রপ্রচারের (যখন) স্থান থেকে রক্ত বের হয় তা ইস্তেহাযা ধরা হবে , নেফাস ধরা হবে না আর যদি বাচ্চা প্রসবের পর পর রক্ত লজ্জাস্থান থেকে বের হয় তাহলে তা নেফাসের হুকুম ধরাহবে। (হিন্দীয়া ১/৯১, ফাতহুল কাদীর ১/১৮৮, বাহরুররায়েক ১/৩৭৮)
৪৩ প্রশ্ন: আমার নাভির নিচের পশম কি পদ্ধতিতে কর্তন করব, সুন্নাত পদ্ধতি কি ? কি পরিমাণ অর্থাৎ কোথা হতে শুরু করে কোন স্থান শেষ করব, কতদিন পর পর কর্তন করব সঠিক স্মাধান দিয়ে উপকৃত করবেন।

উত্তর: নাভির নীচের পশম সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করা মুস্তাহাব। এবং চল্লিশ দিন পর্যন্ত দেরি-করা মাকরুহে তাহরীমি। লজ্জা-স্থানের আশে পাশের স্থান সমূহ পরিষ্কার করা জরুরী, নাভি পর্যন্ত পরিষ্কার করা আবশ্যক নয়। (তিরমিযী ২/১০৭, ফাতহুল বাড়ী ১১/৪২২, হাক্কানীয়া ২/৭৩২)


৪৪ প্রশ্ন: অজুতে দাড়ির পূর্ন অংশ ধোয়া কি জরুরী ? একটু খুলে বললে কৃতজ্ঞ থাকবো।

উত্তর: মূল চিবুকের পূর্ণ দাড়ি ধোয়া আবশ্যক , চিবুক থেকে নিচে ঝুলে থাকা দাড়ি ধোয়া ওয়াজিব নয়। ঘন দাড়ির উপরের অংশে পানি গড়িয়ে দেয়া ওয়াজিব , দাড়ির গোড়ায় পানি পৌঁছানো ওয়াজিব নয়। তবে যদি দাড়ি এমন পাতলা হয় যে , তার কারণে দাড়ির গোড়া প্রকাশ পেয়ে গেছে তখন গোড়ায় পানি পৌঁছানো ওয়াজিব। 
(বাদায়েউসসানায়ে ১/৬৭, হিন্দীয়া ১/৪, বহরুররায়েক ১/৩৪)   

৪৫ প্রশ্ন: আমি অজু করতে গিয়ে এক হাত ধুতে ভূলে যাই, এমনকি পা ধুয়ে ফেলি, এর পর আমার স্মরন হয়। এখন আমার করনীয় কি ? নতুন করে অজু করতে হবে নাকি শুকনা হাতটি ধুয়ে নিলে হবে ?

উত্তর: শুকনা হাতটি ধুয়ে নিলেই অজুপূর্ন হয়ে যাবে  নতুন করে অজু করার প্রয়োজন নেই। তবে সুন্নাত ছুটে যাওয়ার কারণে সাওয়াব কিছুটা কম হবে। 
(শামী ১/২০৩, কাযীখান ১/১০-৩৫, বাদায়েউসসানায়ে ১/৬৬-৬৭-১০১-১১২)

৪৬ প্রশ্ন: ফরয গোসল দেরী করে আদায় করা শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন ?

উত্তর: ফরয গোসল দেরী করে আদায় করাতে কোন সমস্যা নেই । তবে উওম হল ফরয গোসলের ক্ষেত্রে বিলম্ব না করা। (বুখারী ১/৪৩, তাতারখানীয়া ১/২৯২, হাক্কানীয়া ২/৫৩৬)

৪৭ প্রশ্ন: চামড়ার মতো মোটা রেক্সিন দ্বারা তৈরি মোজার উপর মাসেহ করা সহীহ হবে কি ?

উত্তর: চামড়ার মতো মোটা রেক্সিন দ্বারা তৈরি মোজার উপর মাসেহ করা সহীহ হবে।
(শামী ১/৪৯৯, বাহরুররায়েক ১/৩১৭, আপকে মাসায়েল ২/৬৬)

৪৮ প্রশ্ন: কেঊ যদি ওযুতে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা যেমনঃ কুলি করা, খিলাল করা ইত্যাদি নিয়মিত ছেড়ে দেয় তাহলে সে কি গুনাহগার হবে ?
উত্তর: হ্যাঁ, যদি কেউ ওযুতে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা যেমন, কুলি করা, খিলাল করা ইত্যাদি নিয়মিত ছেড়ে দেয় তাহলে সে কি গুনাহগার হবে এবং তা হবে মাকরুহে তাহরিমী।
(শামী ১/২১৮, তাতারখানীয়া ১/২০৯, হিন্দীয়া ১/৫৭)

Comments

  1. নাপাক হওয়ার পর ফরয গোসল কি ওই নাপাক হয়া পায়জামা/প্যান্ট এর সাথেই করতে পারবো নাকি পায়জামা/প্যান্ট বদলাতে হবে?

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

নামাজ প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৯৬ টি - দলিল সহ  ০১ প্রশ্ন: সেজদার জায়গায় ধুলা-বালি থাকলে নামাজের মধ্যে ফুঁ’দিয়ে তা দূর করা শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন?  উত্তর: সেজদার জায়গায় ধুলাবালি থাকলে যদি তা ফুঁ দিয়ে দূর করার কারণে আওয়াজ সৃষ্টি হয় তাহলে নামাজ-নষ্ট হয়ে জাবে,অন্যথায় নামাজ নষ্ট হবে না,তবে-ইচ্ছাকৃত এরূপ করা মাকরূহ।আর যদি সেজদার জায়গায় কষ্টদায়ক কোন কিছু থাকে যার কারণে সেজদা করতে অক্ষম হয় তখন তা হাত দিয়ে সরিয়ে দিবে। (হিন্দীয়া ১/১৫৯, ক্বাযীখান ১/৭৪) ০২ প্রশ্ন: মহিলারা বৈঠকের সময় কিভাবে বসবে, পুরুষদের মতই-নাকি তাদের থেকে ভিন্ন কোন পদ্ধতিতে ? উত্তর: মহিলারা বৈঠকের সময় পুরুষদের মত বসবেনা,বরং সে তার বাম নিতম্বের উপর বসবে এবং তার উভয়-পা ডান দিকে বের করে দিবে। ( হিন্দীয়া ১/১৩৩, রাহিমীয়া ৫/৭৫) ০৩ প্রশ্ন:নামাজে কেউ দুইবার সূ্রা ফাতেহা পড়ে ফেলে তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে কি না? উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে ও ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাজের প্রত্যেক রাকাআতে সূ্রা মিলানোর পূর্বে দুইবার সূ্রা ফাতেহা পড়ে তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।আর যদি সূ্রা মিলানোর পরে দ্বিতীয়বার প

ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৯ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: কিস্তিতে বেশি দামে পন্য বিক্রি করার বিধান ? উত্তর: কিস্তিতে বেশি দামে পন্য বিক্রিওয় জায়েজ। যেমন আমাদের দেশে প্রচলিত ফ্রিজ, ফার্নিচার, ফ্ল্যাট ইত্যাদি দুই পদ্ধতিতে বিক্রি করা হয়। নগদ দাম দিয়ে কিনলে কম মূল্য আর কিস্তিতে কিনলে  বেশি মূল্য। ফুকাহায়ে কেরাম এ পদ্ধতিকে বৈধ ঘোষনা করেছেন। যেহেতু এখানে সুদের সম্ভাবনা নেই। কেননা পন্য এবং মূল্য একই জিনিসের নাহলে বাকিতে বা বাকিতে বিক্রি করা জায়েজ। তাই এ  জাতীয় ক্রয় বিক্রয় জায়েজ। (হেদায় ৩/৭৯, আলমগীরী ৩/১৩৬, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৪০) ০২ প্রশ্ন: মানুষের রক্ত, চুল, নখ ইত্যাদি বিক্রি করার বিধান ? উত্তর: মানুষের রক্ত, চুল, নখ ইত্যাদি বিক্রি করা হারাম। কেননা মানষের প্রত্যেকটি অঙ্গকে আল্লাহ তাআলা মর্যাদা দিয়েছেন, তাই সমস্ত মানুষের কোনো অঙ্গ বিক্রিকে ফুকাহায়ে কেরাম নাজায়েজ ঘোষনা করেছেন। আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে মানুষের নখ, চুল, রক্ত ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে, যা সম্পূর্ন নাজায়েজ। তবে কঠিন বিপদের মূহুর্তে রক্ত পাওয়া নাগেলে, রক্ত কিনার অনুমতি বয়েছে, কিন্তু বিক্রি সর্বাবস্থেয় নাজায়েজ। আওর স্বাধীন মানুষ বা তার কোন অঙ্গ বিক