Skip to main content

যাকাত প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ২০ টি - দলিল সহ


০১ প্রশ্ন: আমার কাছে শুধু ছয় ভরি স্বর্ন আছে। আর কোন টাকা পয়সা বা ব্যবসার মাল নেই এবং এর উপর বছরও অতিবাহিত হয়েছে । আমার উপর এতে কি পরিমাণ যাকাত ওয়াজিব হবে?

উত্তর: প্রশ্নে উল্লিখিত সুরতে আপনার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না।
(হিন্দীয়া ১/১৭৯, বাদায়েউসসনায়ে ২/১০০, তাতারখানীয়া ৩/১৫৪)

০২ প্রশ্ন: আমাদের দেশে সরকারের পক্ষ থেকে যে ইনকাম ট্যাক্স নেওয়া হয়, যদি কোন ব্যক্তি যাকাতের নিয়তে তাপ্রদান করে তাহলে এটা যাকাত হিসেবে গন্য হবে কি না ?

উত্তর: যাকাতের নিয়তে ইনকাম ট্যাক্স প্রদান করার দ্বারা তা যাকাত হিসেবে গন্য হবে না ?
(শামী ৩/২৫৫, তাতারখানীয়া ৩/২২৫, দারুল উলুম ৬/১৪৭)

০৩ প্রশ্ন: যাকাতের টাকা মসজিদ মাদ্রাসার নির্মান কাজে দান করলে জাকাত আদায় হবে কিনা?

উত্তর: যাকাতের টাকা মসজিদ মাদ্রাসার নির্মান কাজে দান করলে জাকাত আদায় হবে না।
(শামী ৩/৩৪১, হিন্দীয়া ১/২৫০, রাহিমীয়া ৮/১৮৬)

০৪ প্রশ্ন: ব্যাংকে টাকা রাখালে সে টাকার যাকাত দিতে হবে কিনা ?

উত্তর: যদি নেসাব পরিমাণ টাকা হয় এবং তা এক বছর ব্যাংকে থাকে তাহলে সে টাকার যাকাত দিতে হবে। (শামী ৩/২৭১, ১/৬০৮, আল বাহরুর রায়েক ২/৩৯৪, তাতারখানীয়া ৩/১৫৮)

০৫ প্রশ্ন: যাকাত প্রদানের সময় উপযুক্ত ব্যক্তিকে যাকাতের কথা বলে প্রদান করা কি শর্ত ? অন্য কোন নামে বা কোন কিছু না বলে প্রদান করলে কি যাকাত আদায় হবে ?

উত্তর: যাকাত প্রদানের সময় উপযুক্ত ব্যক্তিকে যাকাতের কথা বলে প্রদান করা শর্ত নয়। অন্য কোন নামে বা কোন কিছু না বলে প্রদান করলেও যাকাত আদায় হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে যাকাত প্রদানের নিয়ত করা জরুরি।
(শামী ৩/১৮৭, হিন্দীয়া ১/১৭১, হাক্কানিয়া ২/৪৮৩)

০৬ প্রশ্ন: আমি এক ব্যক্তির কাছে ৫০০০ টাকা পাই। লোকটি যাকাতের হকদার। এ বছর যাকাত প্রদানের সময় আমি তার ঐ টাকাকে যাকাতের নিয়তে মাফ করে দেই। আমার জানার বিষয় হল এভাবে আমার যাকাত প্রদান সহিহ হয়েছে কি ?

উত্তর: প্রশ্নে উল্লিখিত ছুরতে আপনার প্রদান সহিহ হয় নি। এক্ষেত্রে যাকাত আদায়ের সহিহ পদ্ধতি হল আপনি আপনার যাকাতের টাকা তাকে দিয়ে দিবেন। তার পর তার থেকে স্বীয় ঋণ উসূল করে নিবেন।  (শামী ৩/১৯০, তাতারখানীয়া ৩/১৯৬)  

০৭ প্রশ্ন: কোন ধনী ব্যক্তি যদি অগ্রিম কয়েক বছরের যাকাত আদায় করে। তাহলে সহহ হবে কি না ?

উত্তর: ধনী ব্যক্তির জন্য অগ্রিম কয়েক বছরের যাকাত দেওয়া জায়েজ। তবে প্রতি বছরের যাকাতের পরিমাণ বছর শেষে হিসাব করে চুড়ান্ত করতে হবে। 
(হিন্দীয়া ১/১৭৬, বাহরুর রায়েক ২/৩৯২, ফাতহুল কাদীর ২/২১৩)  

০৮ প্রশ্ন: ভাড়ায় খাটানো বাড়ি বা দোকানের যাকাতের বিধান।

উত্তর: যে বাড়ি বা দোকান ভাড়া দিয়ে অর্থোপার্জন করা হয়, সে বাড়ি বা দোকানের মূল্য যত বেশিই হোক না কেন, তার মূল্যের উপর যাকাত আসবে না। তবে উক্ত বাড়ি বাড়া বা দোকান থেকে প্রাপ্ত ভাড়ার টাকা যদি নেসাব পরমান হয় এবং তার উপর এক বৎসর অতিক্রম হয় তাহলে ভাড়া খাতানো বাড়ি বা দোকানের ভাড়ার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে। এমনিভাবে ভাড়ার টাকা কম হলে বৎসর শেষ পর্যন্ত থাকলে অন্য ঋনমুক্ত টাকা বা ব্যবসায়ী পন্য বা স্বর্ন অলংকারের সাথে মিলালে যদি নেসাব পরিমাণ হয় তাহলেও তাওর উপর যাকাত আসবে। 
(হেদায়া ১/১৮৬, কাযীখান ১/২৫১, শামী ৩/১৮২)

০৯ প্রশ্ন: মৎস্য খামার বা গোল্ট্রি ফার্মের যাকাতের বিধান।

উত্তর: মাছ, গরু, মুরগি ইত্যাদি যদি বিক্রি করার জন্য ক্রয় করে লালন-পালন করা হয় তাহলে  সেগুলোর বাজার মূল্যের উপর যাকাত ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে যদি এগুলো  বিক্রির  উদ্দেশ্য না থেকে বরং ডিম বা দুধ বিক্রির উদ্দেশ্য থাকে তাহলে মাছ  মুরগি বা গরুর মূল্যের উপর যাকাত আসবে না। তবে ডিম, দুধ বা বাচ্চা বিক্রির টাকা বেঁচেগেলে বৎসর শেষে অন্য টাকার সাথে যাকাতের হিসাবে ধরতে হবে। (শামী ৩/১৮৩, কাযীখান ১/২৫০, আলমগীরী ১/১৭২)

১০ প্রশ্ন: কর্জ দেয়া টাকার উপর যাকাতের বিধান।

উত্তর: কর্জে হাসানা অনেক সওয়াবের কাজ। তবে ইসলামের বিধান হল যে ব্যক্তি অন্য কাউকে কর্জ দিবে, সে ব্যক্তির উপরই কর্জ দেয়া টকার যাকাত দেয়া ওয়াজিব। সুতরাং কর্জ দেয়া টাকা যদি নেসাব পরিমাণ হয়, অথবা কর্জদাতার অন্য টাকা বা স্বর্ন  বা রুপার সাথে মিলে নেসাব পরিমাণ হয় তাহলে কর্জদাতার উপর পূর্ন টাকার যাকাত ওয়াজিব। 
(শামী ৩/১৮৪, কাযীখান ১/২৫২, আলমগীরী ১/১৭৫)

১১ প্রশ্ন: মাদ্রাসার গরীব ছাত্রদের যাকাত দেয়ার বিধান।

উত্তর: মাদ্রাসার গরীব ছাত্রদের যাকাত দিলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে। বরং ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন, দ্বীনী ইলম শিক্ষারত এমন গরিবকে যাকাত দিলে অন্য মূর্খ গরিবের তুলনায় বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে। কারন ছাত্র গরিব বিধায় যাকাত আদায় হয়ে যাবে, সাথে সাথে ত্রতে দীনী কাজে সহযোগিতা হয় দিধায় সওয়াব বেশি।(শামী ৩/২৮৯, হেদায়া ১/২০৫)

১২ প্রশ্ন: আমার একটি বড় বাগান আছে। বাগানে অনেক গাছ-পালা রয়েছে, এমন কতগুলি গাছ আছে যার প্রত্যেকটির দাম লক্ষাদিক, এছাড়া আমার কোন নগদ টাকা বা স্বর্নরুপা নেই। প্রশ্ন হল এমতাবস্থায় আমার হজ্জ্ব এবং যাকাত ফরজ হবে কি ?

উত্তর: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না কেননা উক্ত গাছগুলো  مال نامي নয়, তবে কয়েকটি গাছ বিক্রি করে যদি হজ্জ্বের যাতায়েত খরচ ও ফিরে আসা পর্যন্ত পরিবারের খরচ পরিমাণ হয় তাহলে আপনার উপর হজ্জ্ব ওয়াজিব হবে। 
(শামী ৩/২০৮, হিন্দীয়া ২/৫৪৯, কাজ্বীখান ১/১৭২)

১৩ প্রশ্ন: আমাদের সমাজে অনেক মা বাবা অনেক নাবালেগ সন্তান কে অলংকার দিয়ে থাকে তারা সন্তান্দেরকে এগুলি একেবারে দিয়ে দেয় অর্থ্যাৎ সন্তান রা এর পূর্ন মালিক হয়ে যায় প্রশ্ন হল নাবালেগ সন্তানের মালিকানায় চেছাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে কি না ?
উত্তর: নাবালেগ সন্তানের মালিকানায় নেছাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে ও তাদের উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না । (সুনানে নাছায়ী ২/৮৬, শামী ৩/১৭৩, হিন্দীয়া ১/১৮৬)

১৪ প্রশ্ন: যদি কোন ব্যক্তি অল্প অল্প করে যাকাত আদায় করে এক সাথে আদায় না করে তাহলে তার যাকাত আদায় কি ছহিহ হবে  ?

উত্তর: অল্প অল্প করে যাকাত আদায় করলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে, তবে ওজর ছাড়া বিলম্ব করলে গুনাহগার হবে । (শামী ৩/১৯১, ফাতহুল কাদীর ২/১৬৬, তাতারখানীয়া ৩/১৩৫)

১৫ প্রশ্ন: কর্মচারী কে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে কি ?

উত্তর: কর্মচারী কে যাকাত প্রদান করলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে , তবে বেতন হিসেবে নয় । 
(শামী ৩/২৮৩, হিন্দীয়া ১/১৯০, ফাতুয়ায়ে আসমানি ২/১৩৬)

১৬ প্রশ্ন: যাকাতের নিয়তে মাদ্রাসার কোন ছাত্রকে কিতাব কিনে দিলে যাকাত আদায় হবে কি ?

উত্তর: যাকাতের নিয়তে মাদ্রাসার কোন ছাত্রকে কিতাব কিনে দিলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে, তএব শর্ত হল সে ছাত্রটি যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত হতে হবে। কেননা যাকাতের জন্য শর্ত হচ্ছে মালিক বানিয়ে দেওয়া। ( শামী ৩/৩৪১, হিন্দীয়া ১/২৩২, বাহরুররায়েক ২/২৩২)
প্রশ্ন: বিনামূল্যে বিতরনের উদ্দেশ্যে বই ছাপানোর কাজে যাকাতের টাকা ব্যয় করলে যাকাত আদায় হবে কি ?

উত্তর: এভাবে বই বন্টন করলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে, যদি বিতরনের ক্ষেত্রে যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত ব্যাক্তিকে মালিক বানিয়ে দেয়া হয়। 
(বুখারী ১/২০২, ফাতহুল বাড়ী ৪/৯৮, বাহরুররায়েক ২/৩৫২) 

১৭ প্রশ্ন: গত বছর দুই লক্ষ টাকার মহরের বিনিময়ে আমার বিবাহ হয়, যার অর্ধেক টাকাই নগদ দেওয়ার কথাছিল, কিন্তু আমার স্বামী এখন ও তা দেননি। প্রশ্ন হল, আমার মহরের কারণে আমার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে কি ?

উত্তর: উক্ত ক্ষেত্রে পাপনার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না । কেননা মহর উসুল করার পূর্বে তার ঊপর যাকাত ওয়াজিব হয় না । 
(শামী ৩/২৮৩, ফাতহুল কাদীর ২/১৭৬, কাযীখান ১/১৫৬-১৬৪)

১৮ প্রশ্ন: আমি গত ৫ বছর যাবৎ যাকাত দেইনি অথচ আমার উপর যাকাত ওয়াজিব । আমার সম্পত্বি নম্নে বর্ননা করতঃ জনাবের নিকট প্রতি বছরের যাকাতের পরিমাণ জানতে চাই, স্বর্ন তিন ভরি, রুপা চার ভরি ব্যংকে গচ্চিত টাকা ৮ লক্ষ। 

উত্তর: আপনার উল্লেখিত সম্পদ তিন ভরি স্বর্ন ভার ভরি রুপ্যের মূল্য এবং ব্যাংকে গচ্ছিত ৮ লক্ষ টাকা হিসাব করে ৮০ ভাগের এক ভাগ হারে  বিগত প্রত্যেক বছরের যাকাত আদায় করতেহবে। তবে প্রত্যেক বছরের যাকাত যোগ্য টাকা বাদ দিয়ে সেসব বছরের স্বর্ন রুপার মূল্য হসাব করে অবশিষ্ট টাকার যাকাতের পরিমাণ বির্ধারন করবেন। 
(শামী ৩/১৮০, বাদায়েউসসানায়ে ২/৭৭, হিন্দীয়া ১/২৪১)

১৯ প্রশ্ন: আমার ঢাকা শহরে ব্যক্তিগত তিনটি বাড়ি আছে একটিতে আমি বসবাস করি । আওরেকটি আমার ছেলে মেয়েদের কে থাকতে দিয়েছি , আরেকটি সম্পূর্ন ভাড়া দেওয়া । আমি যেটাতে বসবাস করি সেটা সাত তলা , এক তালাই আমার জন্য যথেষ্ট । বাকি তলা গুলো কিছু ভাড়া দেওয়া আর কিছু এমনিই পড়ে আছে, এছেড়া আমার কোন নগদ টাকা , ব্যবসায়ী পন্য কিংবা স্বর্ন রুপা নাইএমতাবস্থায় তামার উপর জাকাত ওয়াজিব হবে কি ? উল্লেখ্য ভাড়ার টাকা দিয়ে আমার সারা বৎসর সংসার চলে আরো কিছু উদ্ধৃ ও থাকে। 

উত্তর: আপনার বাড়ির উদ্ধৃও ভাড়া  যদি নেসাব পরিমাণ হয় এবং তার উপর এক বৎসর অতিবাহিত হয় তাহলে ঐ টাকার উপর জাকাত আসবে। আর বাড়ির উপর জাকাত আসবে না। 
(হিন্দীয়া ১/২৩৪, ফাতুয়ায়ে কাযীখান ১/১৫৬, তাতারখানীয়া ৩/১৭৩)

২০ প্রশ্ন: আমার দুইটি গাড়ি আছে উভয়টি আমি রেন্ট এ করে দিয়েছি। এর আয় দিয়ে আমিসারা বৎসর চলি। এক কথায় এটা আমার উপার্জনের মাধ্যম। আমি শোনেছি ব্যবসামী পন্যের উপর জাকাত ওয়াজিব হয়, প্রশ্ন হল উক্ত গাড়ি দুইটির মূল্য হিসাব করে আমার উপর কি জাকাত ওয়াজিব ?

উত্তর: না, আপনার গাড়ি দুইটির মূল্যের উপর জাকাত ওয়াজিব হবে না। 

(হিন্দীয়া ১/২৩৪, তাতারখানীয়া ৩/১৭৩, মুহাম্মাদীয়া ১৪/৭০)

Comments

Popular posts from this blog

নামাজ প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৯৬ টি - দলিল সহ  ০১ প্রশ্ন: সেজদার জায়গায় ধুলা-বালি থাকলে নামাজের মধ্যে ফুঁ’দিয়ে তা দূর করা শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন?  উত্তর: সেজদার জায়গায় ধুলাবালি থাকলে যদি তা ফুঁ দিয়ে দূর করার কারণে আওয়াজ সৃষ্টি হয় তাহলে নামাজ-নষ্ট হয়ে জাবে,অন্যথায় নামাজ নষ্ট হবে না,তবে-ইচ্ছাকৃত এরূপ করা মাকরূহ।আর যদি সেজদার জায়গায় কষ্টদায়ক কোন কিছু থাকে যার কারণে সেজদা করতে অক্ষম হয় তখন তা হাত দিয়ে সরিয়ে দিবে। (হিন্দীয়া ১/১৫৯, ক্বাযীখান ১/৭৪) ০২ প্রশ্ন: মহিলারা বৈঠকের সময় কিভাবে বসবে, পুরুষদের মতই-নাকি তাদের থেকে ভিন্ন কোন পদ্ধতিতে ? উত্তর: মহিলারা বৈঠকের সময় পুরুষদের মত বসবেনা,বরং সে তার বাম নিতম্বের উপর বসবে এবং তার উভয়-পা ডান দিকে বের করে দিবে। ( হিন্দীয়া ১/১৩৩, রাহিমীয়া ৫/৭৫) ০৩ প্রশ্ন:নামাজে কেউ দুইবার সূ্রা ফাতেহা পড়ে ফেলে তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে কি না? উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে ও ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাজের প্রত্যেক রাকাআতে সূ্রা মিলানোর পূর্বে দুইবার সূ্রা ফাতেহা পড়ে তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।আর যদি সূ্রা মিলানোর পরে দ্বিতীয়বার প

পবিত্রতা প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৪৮ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: ফরয গোসলে নাকে পানি দেওয়ার বিধান কি ? উত্তর: ফরয গোসলে নাকে পানি দেওয়া ফরয।   (শামী ১/৩১১, বাদায়েউসসনায়ে ১/১৪২, হাক্কানীয়া ২/৫২১) ০২ প্রশ্ন: অনেকে বলে থাকেন, অজু করে কাপড় দিয়ে হাত মুখ মোছা উচিৎ নয়, এতে সওয়াব কমে যায়, কথাটি কি সঠিক ? অজুর পর হাতমুখ মোছার বিধান কি ? জানালে কৃতঙ্গ থাকব।  উত্তর: অজুর পর কাপড় দিয়ে হাত মুখ মোছাতে কোন সমস্যা নেই, বরং কেউ কেউ একে অজুর আদব এবং মুস্তাহাব হিসেবে উল্লেখ করেছেন, সুতরাং যারা বলে যে অজু করে কাপড় দিয়ে হাত মুখ মোছা উচিৎ নয়। এতে সওয়াব কমে যায় তাদের এ কথা সঠিক নয়।  (শামী ১/২৭৯, হিন্দীয়া ১/৬৫, দারুল উলুম ১/১৩১ ) ০৩ প্রশ্ন: আমি মেহেদী পাতা বেটে হাতে দেই পরবর্তিতে আমার মেয়ে জানায় মেহেদীর মধ্যে নাপাক পানি পড়ে তা নাপাক হয়ে গেছে, এখন আমার জানার বিষয় হল নাপাক মেহেদী দ্বারা হাত রঙ্গিন করার পর হাত পবিত্র করার পদ্ধতি কি। উত্তর: নাপাক মেহেদী দ্বারা হাত রঙ্গিন করার পর পরিষ্কার পানি বের হওয়া পর্যন্ত হাত ধৌত করলে হাত পবিত্র হয়ে যায়। যদিও রং বাকি থাকে। (শামী ১/৫৯০,  হিন্দীয়া ১/৯৬, ক্বাযীখান ১/১

ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৯ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: কিস্তিতে বেশি দামে পন্য বিক্রি করার বিধান ? উত্তর: কিস্তিতে বেশি দামে পন্য বিক্রিওয় জায়েজ। যেমন আমাদের দেশে প্রচলিত ফ্রিজ, ফার্নিচার, ফ্ল্যাট ইত্যাদি দুই পদ্ধতিতে বিক্রি করা হয়। নগদ দাম দিয়ে কিনলে কম মূল্য আর কিস্তিতে কিনলে  বেশি মূল্য। ফুকাহায়ে কেরাম এ পদ্ধতিকে বৈধ ঘোষনা করেছেন। যেহেতু এখানে সুদের সম্ভাবনা নেই। কেননা পন্য এবং মূল্য একই জিনিসের নাহলে বাকিতে বা বাকিতে বিক্রি করা জায়েজ। তাই এ  জাতীয় ক্রয় বিক্রয় জায়েজ। (হেদায় ৩/৭৯, আলমগীরী ৩/১৩৬, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৪০) ০২ প্রশ্ন: মানুষের রক্ত, চুল, নখ ইত্যাদি বিক্রি করার বিধান ? উত্তর: মানুষের রক্ত, চুল, নখ ইত্যাদি বিক্রি করা হারাম। কেননা মানষের প্রত্যেকটি অঙ্গকে আল্লাহ তাআলা মর্যাদা দিয়েছেন, তাই সমস্ত মানুষের কোনো অঙ্গ বিক্রিকে ফুকাহায়ে কেরাম নাজায়েজ ঘোষনা করেছেন। আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে মানুষের নখ, চুল, রক্ত ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে, যা সম্পূর্ন নাজায়েজ। তবে কঠিন বিপদের মূহুর্তে রক্ত পাওয়া নাগেলে, রক্ত কিনার অনুমতি বয়েছে, কিন্তু বিক্রি সর্বাবস্থেয় নাজায়েজ। আওর স্বাধীন মানুষ বা তার কোন অঙ্গ বিক