যাদুকরের চক্রান্ত কত সুক্ষ্ম
ভিক্টেমের নাম : মোছা সানজিদা আক্তার তার মায়ের নাম পারভীন আক্তার তাবিজে তাই লেখায় আছে, তারা শহরের অধিবাসিন্দা। বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল।
সানজিদা তার বাবার একমাত্র সন্তান, আদর- সোহাগ ভালোবাসা কোনোর কমতি নেই। বড়লোকের সন্তান হিসাবে সানজিদার অর্থনীতিকের ও চাপে কোনো দিন পরে নাই তাই স্বপ্ন পুরন করতে কোনো বাধা নেই তার । দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার পড়াশোনা চলছে ইন্টার ফাস্টে।
মা বাবা কিছুটা ধার্মিক হলে ও সানজিদা পুরাই আধুনিক , আর এই যুগে ধার্মিকতা তো হারিয়ে গেছে। সানজিদার জন্মদিন এই বছরে পালিত হয় কিছুদিন আগে, জন্মদিনে বাবার পক্ষ থেকে Iphone 11 pro গিফট পায় সানজিদা। মায়ের পক্ষ থেকে নিউ ল্যাপটপ আর বন্ধু বান্ধুবী থেকে ভিবিন্ন দামি দামি উপহার। তার মাঝে মূর্তিমান এই সোপিজ টি যেটা কে কেন্দ্র করে সব।
জন্মদিনের এক বন্ধু তাহাকে
এটা গিফট করে এই শোপিজ টি। ছেলেটি ছিলো খুবিই সুন্দর টগবগে এক যুবক অনেক মেয়ে পিছু
পিছু ঘুরে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের জন্য। ছেলে ও সুযোগ বুঝে স্বার্থ পূর্ন করে।
এই ছেলে সানজিদার জন্মদিনের
অনেক পূর্বে সানজিদা কে প্রেমের অফার দেয় কিন্তুু সে রাজী হয়নি।
তাই সে ব্ল্যাক
ম্যাজিক করে।
জন্মদিনের রাত অতিবাহিত
হওয়ার পর পরের সন্ধ্যার সময় সানজিদা অসুস্হতা অনুভব করে, অতপর তাহার নিজের মাঝে প্রচুর
ডিপ্রেশন ফিল করতে পায় যাহা সে কখন ও করে নাই, অতপর সেদিন থেকে বমি করে রক্তের, প্রচুর
শরির জ্বালাপোড়া উঠে অস্হির অস্হির ফিল করতে করতে একটা সময় সানজিদার মা ও বাবার সাথে
খারাপ খারাপ আচরন শুরু করে।
কোনো এক রাতে তার মা কে
সে মারে, কিন্তুু সানজিদার মা বাবা বুঝতে পারছে মেয়েটি মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে,
তাই ওরে দ্রুত ডাঃ দেখানোর কথা হলো রাতে আগামিকাল সকাল ডাঃ এর কাছে নিয়ে যাওয়া হবে,
তাই রাতে সকলে যার যার রুমে ঘুমিয়ে গেলে ও সানজিদার আর ঘুম আসছেনা এদিকে ডিপ্রেশন অপর
দিকে অসুস্হতা
হটাৎ তার কাছে পৃথিবীটা
সংকীর্ণ হয়ে গেলো, তাই বাধ্য হয়ে সুস্যাইডের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সানজিদা।
সিলিং ফ্যান নেই এসি আছে
তাই ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে মরতে পারবে না, অনেকক্ষণ বসে বসে চিন্তা করতেছে আর কানের
মাঝে আর অন্তরের মাঝে কে যেনো বলতেছে আর ওয়াসওয়াসা দিতেছে দ্রুত আত্মহত্যা কর সমাধান
পাবি।অল্প কিছুক্ষণের মাঝে জ্বীনের ওয়াসওয়াসায় কাবু হয়ে গেলো সানজিদা তাই দ্রুত গতিতে
টয়লেটে ঢুকে হারপিক খাওয়া শুরু করলো সানজিদা, হারপিকের কার্যকারিতা যখন শুরু করছে তখন
সে জোড়ে চিৎকার শুরু করে দিছে মা বাবা দ্রুত টয়লেটে ঢুকে দেখে তাদের মেয়ে মৃত্যুপথের
যাত্রী, অতি দ্রুত এম্বুলেন্স এর সাহায্য হসপিটালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করে হারপিকের
ইফেক্ট নষ্ট করা হলো। ৩ দিন হসপিটালে ভর্তি ৪ দিনে সকালে সানজিদা কে রিলিজ করে দেওয়া
হবে। তাই হটাৎ ৩ দিনের রাতে সানজিদা হসপিটালের নার্স কে মারধোর করে পালিয়ে যায়, ৫ দিন
ধরে নিখোঁজ সানজিদা কোথাও সন্ধ্যান নাই তাদের, এদিকে মা বাবা সন্তান হারিয়ে রাস্তার
পাগলের মতো হয়ে যাচ্ছে ক্রমশে।
সানজিদার পরিবার জ্বীন
বা যাদু এসব মুটেও বিশ্বাস করেনা। মহল্লার লোকেরা বুঝানোর চেষ্টা করছে তাহার সম্পর্কে
কবিরাজ বা হুজু্রের কাছে যাও।
সানজিদার মা এক জনপ্রিয়
কবিরাজের কাছে যায় তার মেয়ের সন্ধ্যান ও সুস্হতার জন্য কবিরাজ বল্লো তার মেয়ে মারা
গেছে। সানজিদার মায়ের অবস্হা আরো মানসিক ভাবে আরো ভেঙ্গে পড়লো। আরেক কবিরাজের কাছে
গেলো বল্লো বেচে আছে আসবে সে আপনার ঘরে তার ব্যবহৃত কাপড় সহ আরো অনেক কিছু লাগবে সময়
২৪ ঘন্টার ১ দিন ফি - ৪০ হাজার টাকা।
ঠিক আছে রাজি টাকা ও দিয়ে
আসলো এদিকে ২৪ এর স্হান ৪৮ ঘন্টায় ২ দিন হয়ে গেলো তারপর ও সানজিদার খবর নাই আরেক কবিরাজের
কাছে গেলো
১২ ঘন্টার টাইম লাগবে ফি
৫০ হাজার ৫শত ৫ টাকা
সাথে একটি ছাগল।
তাও করলো আসার নাম গন্ধ
নেই ১ দিন চলে গেলো।
এই ভাবে বহু কবিরাজের কাছে
গেলো কিন্তুু সমাধান নেই মেয়ে নিখোঁজ ৪ দিন হয়ে গেলো, ৫ ম দিন এর রাতে এক কওমীর বড়
এক মুখলেস আলেমের নিকট যায় তখন ওনি বলে আপনারা আল্লাহর নিকট দুআ করুন আর কিছু আমল দিলো।
ফি ফিরে আসলে গরিবদের কে সাদকাহ্ করবেন এইটুকু। এই আমলের ৫ দিন শেষ ৬ষ্ঠ দিনের সূর্য
উদিত হলো আর সানজিদার মায়ের নিকট ফোন আসে তার মেয়ে এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়র বাসায়
গতরাতে আসছে।
অতপর তারা বাসায় গিয়ে মেয়ে
কে নিয়ে আসে আর ঐ আলেমের নিকট যায়, আলেম বল্লো আপনি দ্রুত রুকইয়াহ করুন অভিজ্ঞ রাকীর
মাধ্যমে। ভাগ্যক্রমে ঐ মেয়ের কাজিন আমার লিস্টে ছিলো , দ্রুত যোগাযোগ করে পরিবার থেকে
অতপর আমি প্রথমে মেয়ের নিকট যায়তেই পারিনা, বাসায় ঢুকার পর মেয়ে রুকইয়াহ এর কথা শোনে
রুমের দরজা লাগিয়ে বসে আছে রুকইয়াহ করবেনা রাকী কে বলো বাসা থেকে চলে যেতে আর না হলে
আমি মরে যাবো। অতপর আমি বাসা থেকে বের হয়ে যায়, তারপর সে দরজা খুলে ২ ঘন্টার পর মেয়ের
অভিবাবকগুলো মেয়ে কে বসিয়ে রেখে আমাকে মেসেজ করে। তখন আবার যায় মেয়ে আমাকে দেখেই বলতেছে
সে আমাকে মেরে ফেলবে সে পুঁড়ে ফেলবে আমাকে, এই ছেলে কে বের করে দাও মা বের করে দাও
বাবা প্লিজ, আমি পরিবার কে বিষয়টি ইঙ্গিতে বুঝিয়ে বল্লাম বিষয়টি পুরোটাই খাদেম জ্বীন
শাইত্বন নিয়ন্ত্রণ করতেছে। অতপর ওনারদের পূর্ন সাপোর্ট পাওয়ার পর মহান আল্লাহর নাম
নিয়ে রুকইয়াহ্ শুরু করি, এদিকে মেয়ের কন্ঠে জ্বীন শাইত্বনের চিৎকার বাসার দরজা জানালা
গুলো থর থর করে কাপতেছে। দীর্ঘ ৬ ঘন্টার রুকইয়াহ করার পর জ্বীন বলতেছে রুকইয়াহ বন্ধ
করেন আমি যাদুর বিষয় বলতে আগ্রহি!
আমি ঠিক আছে বল :
আমি শুকুম্রার চন্দ্রদাঁস
আমি সনাতন ধর্মের লোক আমার পেশা যাদুর খাদেম, আমার গুরু জয় দ্বীপ্ত দাস ওনার ঠিকানা
রাঙ্গামাটি এর বেশি বল্লে গুরু আমাকে মেরে ফেলবে।
আমি : তাহলে কে পাঠিয়েছে
তোরে!?
জ্বীন : আমাকে আমার গুরু
পাঠিয়েছে এই মেয়ে কে হত্যা করার জন্য!
আমি : ঠিক আছে আমি ও তোরে
হত্যা করবো।
জ্বীন - মুসলীম যুবক বাবা
তোর পায়ে পড়ি আমারে মারিস নে! আমি সব বলতেছি।
আমি : বলার দরকার নেই তোরে
মেরে ফেলবো এটাই কথা।
জ্বীন - এই মেয়ের জন্মদিনে
তার বন্ধু তাহারে যাদুকরে একটি মূর্তিমান বস্তুু তাহারে গিফট করছে, এটার ভিতরে যাদু
আছে আর বাকিগুলো আছে জোড় কবরে
মূর্তিটা নষ্ট করে দে আমি
কবরের টা নষ্ট করে দিবো
আমি চলে যাবো, বাবা তারপর
ও হত্যা করিস না।
আমি : মূর্তি কোথায়!?
জ্বীন - বাবা তাহার রুমের
সুকেশ এর ভিতরে ৩য় নাম্বার থাকের বাম পাশে।
আমি ঢুকলাম অতপর ঠিক লোকেশনে
: এই মূর্তিমান সুপিজ টি পায় যাহার বিস্তারিত ছবিতে আছে।
অতপর কবরস্হানের যাদু নষ্ট
করা হয়।
এখন মেয়েটি অনেকটাই সুস্হ
আছে তবে হারপিকের প্রভাবে লিভারে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনা প্রবল ডাঃ অভিমত।
এখন মহান আল্লাহ তাআলা
হায়াত দিলে হইতো সে বাচবে, আর আমি অধম সর্বপুরি প্রচেষ্টা করেছি।
নোটঃ এই সমস্ত মূর্তি মুসলীমদের ঘরে ঘরে এখন সাজানোর বস্তুু হয়ে গেছে অথচ এই বিষয়ে আমরা
কোনো চিন্তা ও করিনা। অতপর তাদের কে বলি
অবৈধ সম্পর্কের ইতি টানুন
এখনি আর নতুবা এইভাবে আপনি ও বলিদান হতে পারেন কাহারোর প্রেমের ছোবলে। আর জন্মদিন তো
মুসলীমদের ঘরে ঘরে রেওয়াজে পরিনত হয়েছে। যার জন্য মুসলীমরা এই ভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
সাবধান অবৈধ সম্পর্কের
গিফট কিংবা সম্পর্ক দুটিই অবৈধ সুতরাং এগুলো নিজেকে বাচার জন্য পরিহার করুন।
লিখেছেনঃ Mohammad Amir Hamza
Comments
Post a Comment