Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2017

ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৯ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: কিস্তিতে বেশি দামে পন্য বিক্রি করার বিধান ? উত্তর: কিস্তিতে বেশি দামে পন্য বিক্রিওয় জায়েজ। যেমন আমাদের দেশে প্রচলিত ফ্রিজ, ফার্নিচার, ফ্ল্যাট ইত্যাদি দুই পদ্ধতিতে বিক্রি করা হয়। নগদ দাম দিয়ে কিনলে কম মূল্য আর কিস্তিতে কিনলে  বেশি মূল্য। ফুকাহায়ে কেরাম এ পদ্ধতিকে বৈধ ঘোষনা করেছেন। যেহেতু এখানে সুদের সম্ভাবনা নেই। কেননা পন্য এবং মূল্য একই জিনিসের নাহলে বাকিতে বা বাকিতে বিক্রি করা জায়েজ। তাই এ  জাতীয় ক্রয় বিক্রয় জায়েজ। (হেদায় ৩/৭৯, আলমগীরী ৩/১৩৬, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৪০) ০২ প্রশ্ন: মানুষের রক্ত, চুল, নখ ইত্যাদি বিক্রি করার বিধান ? উত্তর: মানুষের রক্ত, চুল, নখ ইত্যাদি বিক্রি করা হারাম। কেননা মানষের প্রত্যেকটি অঙ্গকে আল্লাহ তাআলা মর্যাদা দিয়েছেন, তাই সমস্ত মানুষের কোনো অঙ্গ বিক্রিকে ফুকাহায়ে কেরাম নাজায়েজ ঘোষনা করেছেন। আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে মানুষের নখ, চুল, রক্ত ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে, যা সম্পূর্ন নাজায়েজ। তবে কঠিন বিপদের মূহুর্তে রক্ত পাওয়া নাগেলে, রক্ত কিনার অনুমতি বয়েছে, কিন্তু বিক্রি সর্বাবস্থেয় নাজায়েজ। আওর স্বাধীন মানুষ বা তার কোন অঙ্গ বিক

নাফাকাহ প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৩ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: আমার ছেলে দুটি এবং মেয়ে দুটি। জনৈক আলেম থেকে জানতে পেরেছি যে, ছেলে মেয়ের ক্ষেত্রে সমান ভাবে খরচ করতে হবে। অথচ আমি জানি যে, মেয়ে-ছেলের অর্ধেক পাওয়ার উপযুক্ত। সেহেতু ছেলের তুলনায় মেয়ের ক্ষেত্রে সর্বদা কম খরচ করে থাকি। এক্ষেত্রে কোনটি সঠিক ? উত্তর: প্রশ্নেক্ত অবস্থায় জনৈক আলেমের কথা সঠিক অর্থাৎ ছেলে মেয়ে সকলের ক্ষেত্রে সমান খরচ করতে হবে। তবে যদি দ্বীনদার হওয়ার কারণে কারো ক্ষেত্রে বেশী খরচ করে তাহলে কোন সমস্যা নেই।  (শামী ৮/৫৮৩, হিন্দীয়া ৪/৪১৬, বাযযাজীয়া ৩/১২৩) ০২ প্রশ্ন: আমার একটি নাবালেগ এতিম  সন্তান আছে। তাকে অনেকে দেখতে এসে অনেক কিছু দিয়ে যায়। এমর্মে আমার জানার বিষয় হল, আত্মীয় স্বজন আমার ছেলেকে যা কিছু দিয়েছে, তা থেকে আমি ভরন, পোষন, নিতে পারবো কি না ? উত্তর: আপনি আপনার নাবালেগ সন্তানের মাল থেকে ভরন, পোষন  নিতে পারবেন।  (তাতারখানীয়া ৫/৪১৯, কাযীখান ১/২৬৭, হিন্দীয়া ১/৬১১) ০৩ প্রশ্ন: আমি একজন ছোট মেয়ে , আমার পিতা ইন্তেকাল করেছেন, আমার ৫ জন চাচা ও নানা নানি ও মামারা আছেন এমতাবস্থায় আমার ভরন পোষন শরীয়তের দৃষ্টিতে কার উপর ওয়াজিব ? উত্তর: শ

তালাক প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৩ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: স্ত্রী কর্ত্রৃক স্বামীকে দিভোর্স দেয়ার শরঈ বিধান ? উত্তর: ইসলামে তালাকের অধিকার শুধু স্বামীকেই দিয়েছে, স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়া হয়নি। তবে যদি স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয় তাহলে স্ত্রী শর্ত সাপেক্ষে তালাক গ্রহন করতে পারবে। কিন্তু স্ত্রী তালাক দিলে, তার তালাক গ্রহন এক্সোগ্য হবে না। সুতরাং স্বামী যদি বিবাহের পর, অথবা বিবাহের মজলিসে কিংবা তারো পূর্বে বিবাহের দিকে নিসবত করে স্ত্রীকে তালাক গ্রহনের অধিকার দেয়, তাহলে স্ত্রী শুধু ঐ শর্তগুলো পেলে তালাক গ্রহন করতে পারবে, যে শর্তগুলো তালাক গ্রহনের অধিকার দানের মজলিসে দিয়েছিল। প্রকাশ থাকে যেম অনেক সময় কাজী সাহেব কাবিননামার মধ্যে স্বামীর অজান্তেই নিজ থেকে কিছু শর্ত লিখে ডিভোর্স প্রধানের অধিকার কথা লিখে দেয়, তাদের লেখা ঐ শর্তের কোনো ধর্তব্য নেই। আর অধিকারের তো কোনো প্রশ্নি আসে না। কারন শর্ত এবং অধিকার দেয়ার মালিক একমাত্র স্বামী। তবে কাজী স্বামীর অনুমতিক্রমে যদি তাকে জানিয়ে শর্ত এবং অধিকারের কথা লিখে তাহলে তা গ্রহনযোগ্য হবে। বর্ত্মান সমাজে দিভোর্সের ব্যাপক প্রচলন, মহিলারা স্বামীর সাথে ঝগড়া

বিবাহ প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৭ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: পুরুষের জন্য যে সকল মহিলাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েজ, বিবাহ করা হারাম ক্রমানুসারে  কুরআন ও সুন্নাহর দলীল উল্লেখ করে জানাবেন।  উত্তর: পুরুষের জন্য মাহরাম অর্থাৎ যে সকল নারীর সাথে দেখা করা জায়েজ, বিবাহ করা হারাম   তাদের তালিকা নিম্মরুপ।  (ক) বংশগত              (১) মা              (২) দাদী, নানী, তাদের মা উর্ধস্তন             (৩) মেয়ে, মেয়ের মেয়ে, অধস্তন এবং ছেলের মেয়ে, ছেলের মেয়ের মেয়ে অধস্তন             (৪) আপন বোন, বৈপিত্রিয় বোন, বৈমাত্রিয় বোন              (৫) খালা, অর্থাৎ আপন মায়ের সহোদরা বোন, বৈপিত্রিয় বোন, বৈমাত্রিয় বোন              (৬) ফুফু অর্থাৎ বাপের সহোদরা বোন, বৈপিত্রিয় বোন, বৈমাত্রিয় বোন              (৭) ভাগ্নি অর্থাৎ সহোদরা বোনের মেয়ে, বৈমাত্রিয় বোনের মেয়ে, বৈপিত্রিয় বোনের                    মেয়ে             (৮) ভাতিজী অর্থাৎ সহোদর ভাইয়ের মেয়ে, বৈপিত্রিয় ভাইয়ের মেয়ে, বৈমাত্রিয়                   ভাইয়ের মেয়ে (খ) দুধ সম্পর্কের             (৯) দুধ মা              (১০) দুধ বোন (গ) বৈবাহিক সূত্রে               (১১) শাশুড়ী

যাকাত প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ২০ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: আমার কাছে শুধু ছয় ভরি স্বর্ন আছে। আর কোন টাকা পয়সা বা ব্যবসার মাল নেই এবং এর উপর বছরও অতিবাহিত হয়েছে । আমার উপর এতে কি পরিমাণ যাকাত ওয়াজিব হবে? উত্তর: প্রশ্নে উল্লিখিত সুরতে আপনার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না। (হিন্দীয়া ১/১৭৯, বাদায়েউসসনায়ে ২/১০০, তাতারখানীয়া ৩/১৫৪) ০২ প্রশ্ন: আমাদের দেশে সরকারের পক্ষ থেকে যে ইনকাম ট্যাক্স নেওয়া হয়, যদি কোন ব্যক্তি যাকাতের নিয়তে তাপ্রদান করে তাহলে এটা যাকাত হিসেবে গন্য হবে কি না ? উত্তর: যাকাতের নিয়তে ইনকাম ট্যাক্স প্রদান করার দ্বারা তা যাকাত হিসেবে গন্য হবে না ? (শামী ৩/২৫৫, তাতারখানীয়া ৩/২২৫, দারুল উলুম ৬/১৪৭) ০৩ প্রশ্ন: যাকাতের টাকা মসজিদ মাদ্রাসার নির্মান কাজে দান করলে জাকাত আদায় হবে কিনা? উত্তর: যাকাতের টাকা মসজিদ মাদ্রাসার নির্মান কাজে দান করলে জাকাত আদায় হবে না। (শামী ৩/৩৪১, হিন্দীয়া ১/২৫০, রাহিমীয়া ৮/১৮৬) ০৪ প্রশ্ন: ব্যাংকে টাকা রাখালে সে টাকার যাকাত দিতে হবে কিনা ? উত্তর: যদি নেসাব পরিমাণ টাকা হয় এবং তা এক বছর ব্যাংকে থাকে তাহলে সে টাকার যাকাত দিতে হবে। (শামী ৩/২৭১, ১/৬০৮, আল বাহরুর রায়েক

হজ্ব প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৩ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: আমার স্বামী সৌদীতে থাকে আমার উপর হজ্ব ফরয। আমার স্বামী বলেছে কোন এক মাহরাম আমাকে ঢাকা বিমান বন্দর থেকে বিমানে উঠিয়ে দিবে। আমার স্বামী জেদ্দা বিমান বন্দর থেকে আমাকে নিয়ে যাবেন। এভাবে হজ্বের সফর করা জায়েজ আছে কি ? উত্তর: প্রশ্নে উল্লিখিত সুরতে আপনার জন্য মাহরাম ছাড়া হজ্বের সফর করা জায়েজ নেই। কেননা মহিলার হজ্ব করার জন্য মাহরাম সাথে থাকা শর্ত। যদি কেউ এভাবে হজ্বের সফর করে তাহলে সে গোনাহগার হবে তবে হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।  (বাদায়েউসসনায়ে ১/৪৩৩, হিন্দীয়া ১/২৮২) ০২ প্রশ্ন: আমার দশ বিঘা জমি আছে পাঁচ-ছয় বিঘার ফসল দ্বারা আমি চলতে পারি, এ ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নেই। এমতারস্থেয় আমার উপর কি হজ্জ ফরয অর্থাৎ অতিরিক্ত জমি বিক্রি করে কি আমাকে হজ্জ করতে হবে ? উত্তর: জি হ্যাঁ, প্রশ্নে উল্লিখিত অবস্থায় আপনার উপর হজ্ব ফরয সুতরাং আপনাকে জমি বিক্রি করে হজ্ব করতে হবে। (হিন্দীয়া ১/২৮১-২৮২, ক্বাযীখান ১/১৭৩, হাক্কানিয়া ৪/২১৩) ০৩ প্রশ্ন: আমার উপর হজ্ব ফরয। বয়স ২২, আমি অবিবাহিতা , আমার খালা খালুর সাথে হজ্বে যেতে পারবো কি না ? উত্তর: না, আপনি তাদের সাথে হজ্বে যেতে পারবে

এ’তেকাফ প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৩ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: এ’তেকাফকারীর জানাজায় শরীক হওয়ার বিধান। উত্তর: এ’তেকাফকারীর জন্য জানাজার উদ্দেশ্যে মসজিদ থেকে বের হওয়ার অনুমতিনেই। সুতরাং এতেকাফকারী যদি জানাজার উদ্দেশ্যে মসজিদ থেকে বের হয় তাহলে তার এ’তেকাফ ভেঙ্গে যাবে। তবে যদি উজু উস্তেঞ্জা করে আসার পথে জানাজা পড়ে নেয় তাহলে এ’তেকাফে কোনো সমস্যা হবে না। (শামী ৩/৪৩৯, আলমগীরী ১/২১২, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/৫০৯) ০২ প্রশ্ন: শেষ দশকের এ’তেকাফ ভেঙ্গে গেলে করনীয়। উত্তর: কোণো ব্যক্তির যদি  রমযানের শেষ দশকের সুন্নাত এ’তেকাফ কোনো কারণে ভেঙ্গে যায় তাহলে তার জন্য  শুধু একদিনের কাযা করতে হবে। চাই রমযানে হোক বা রমযানের বাইরে রোযাসহ। তার জন্য পুরা দশ দিনের কাযা ওয়াজিব নয়। শুদু যে দিন চেঙ্গে গেছে সে দিনের কাযা জরুরি। (শামী ৩/৪৩৭, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/৫১১) ০৩ প্রশ্ন: মহিলাদের এ’তেকাফের বিধান। উত্তর: কোনো মহিলা যদি এ’তেকাফে বসতে চায় তাহলে সে তার নামাযের স্থানে যা নতুন করে কোনো ঘ্রে এ;তেকেফের জন্য একটি স্থান নির্ধারন করবে এবং তার জন্য উক্ত নির্ধারিত স্থান্টিত মসজিদের হুকুমে। অর্থাৎ সে মহিলা পেশাব পায়খানা, উজু ও ফরয গোসলের প্রয়ো

রোজা প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৩৫ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: রোজা অবস্থায় শিঙ্গা বা কাপিং করার হুকুম কি ?                              উত্তর: রোজা অবস্থায় শিঙ্গা বা কাপিং করার জায়েজ, তবে যদি শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে মাকরুহ। (হিন্দীয়া ১/২৩২, কাযিখান ১/১২৮) ০২ প্রশ্ন: আমি রোজা রেখে ঘুমিয়ে যাই এমতাবস্থায় আমার স্বপ্নদোষ হয়, এতে কি আমার রোজা ভেঙ্গে যাবে কিংবা রোজার কোন ক্ষতি হবে  ? জানালে উপকৃত হব।                              উত্তর: রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে আপনার রোজা ভঙ্গ হবে না। এবং রোজার কোন ক্ষতি ও হবে না। (বাদায়েউসনায়ে ২/২৩৯, কিযিখান ১/১৩০) ০৩ প্রশ্ন: রমযান মাসের এতেকাফের হুকুম কি ? এবং তা কবে এবং কতদিন করতে হয়। উত্তর: রমজানুল মোবারকে এ’তেকাফ করা সুন্নাতে মুআক্কাদায়ে কেফায়া এবং এ’তেকাফ করবে রমজানের শেষ দশদিন তার থেকে কম হতে পারবে না।  (সহিহ মুসলিম ১/৩৭১, দুররুলমুখতার ৩/৪২০, হিন্দীয়া ১/২১১) ০৪ প্রশ্ন: কোন কোন দিনে শরিয়তে রোজা রাখা নিষিদ্ধ ? উত্তর: দুই ঈদের দিন এবং তাকবিরে তাশরিকের তিন দিন অর্থাৎ যিলহজ্জ্ব মাসের ১১,১২,১৩ তারিখে রোজা রাখা নিষিদ্ধ। (হিন্দীয়া ১/২৬৩, কাযিখান ১/১

জানাজা প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৭ টি - দলিল সহ  ০১ প্রশ্ন: মৃত ব্যক্তির মোচ-চুল নখ ইত্যাদি কাটার বিধান। উত্তর: মৃত ব্যক্তির মোচ-চুল,নখ কর্তন এবং তার চুল দাড়ি আঁচড়ানো বা তার চোখে সুরমা লাগিয়ে দেয়া ইত্যাদি সবি নাজায়েজ। এ সমস্ত কাজ তো জীবিত ব্যক্তির প্রয়োজন, মৃত ব্যক্তি তো এসবের মুখাপেক্ষী নয়। তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের থেকে এ কাজগুলো প্রমাণিত নয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ গোসল দাতাই শরঈ জ্ঞানের অভাবে এ কাজগুলো করে থাকে। আলেমদের উচিৎ এ মাসাআলাগুলো আলোচনা করে লোকদেরকে বুঝিয়ে দেয়া। (হেদায়া ১/১৭৯, শামী ৩/৮৯, দারুল উলুম ৫/২৪৮) ০২ প্রশ্ন: কাফনের কাপড়ে কালিমা লেখার বিধান। উত্তর: কাফনের কাপড়ে কুরআনের আয়াত বা কালিমা ইত্যাদি লেখা সম্পূর্ণ নাজায়েজ। কেননা এর দ্বারা কুরআনের বা কালিমার সম্মানহানী হয়। আমল খারাপ হলে কাফনের সাথে পুরা কুরআন দিয়ে দিলেও কোনো লাভ হবে না। আমল ভাল হলে তো রাসূল ও সাহাবীদের রীতিনীতির বিপরীত কাফনের কাপড়ে লেখার প্রশ্নই আসে না। উল্লেখ্য যে লাশের খাঁটটির উপর যে চাদর ব্যবহার করা হয়, তাতে কালিমা বা দরুদ লেখা চাদর ক্রয়করে মসজিদে দেয়া বা তার দ্বারা লাশ ঢাকা নাজায়েজ (শামী

মুসাফির প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ২ টি - দলিল সহ ০১ প্রশ্ন: আমি বাড়ি থেকে রেল যোগে একটি এলাকায় যাই, রেল পথে তার দূরত্ব আমাদের শহর থেকে ৪৮ মাইলের বেশী। কিন্তু বাস যোগে গেলে সোজাপথ হওয়ায় ৪৮ মাইলের ও কম পথ , সেখানে দুই তিন দিন থাকার নিয়ত করি , প্রশ্ন হল, আমি কি কসর করব নাকি পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে ? উত্তর: আপনার নামাজ কসর করতে হবে, অবশ্য সফরের দূরত্ব হয় না এমন পথ দিয়ে গেলে  আপনার পূর্ণ নামাজ পড়তে হবে। (বাহরুররায়েক ২/২২৮, কাযীখান ১/১০৪, বাজ্জাযীয়া ১/৪৮)    ০২ প্রশ্ন: আমি ঢাকায় এক মাদ্রাসায় লেখা পড়া করি সে খানে আমার থাকার জন্য বিছানা ট্রাংক বই পত্র বয়েছে । বন্ধে বাড়ী ফিরে হঠাৎ দুই দিনের জন্য মাদ্রাসায় আসতে হয় বাড়ী থেকে মাদ্রাসা ৪৮ মেইল থেকে বেশী দূরত্ব , জানার বিষয় হল ওয়াতনে ইকামত ছেড়ে যাওয়ার পর দুই দিনের জন্য সেখানে আসার পর আমি কি মোসাফির হব ? উত্তর:  না, প্রশ্নোক্ত সূরতে আপনি মোসাফির হবেন না , আপনাকে পুরা নামাজ পড়তে হবে।  (শামী ২/৬১৪, বাহরুররায়েক ২/২৩৯, হিন্দীয়া ১/২০২)

নামাজ প্রসঙ্গে - পুরো অধ্যায়

প্রশ্ন আছে ৯৬ টি - দলিল সহ  ০১ প্রশ্ন: সেজদার জায়গায় ধুলা-বালি থাকলে নামাজের মধ্যে ফুঁ’দিয়ে তা দূর করা শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন?  উত্তর: সেজদার জায়গায় ধুলাবালি থাকলে যদি তা ফুঁ দিয়ে দূর করার কারণে আওয়াজ সৃষ্টি হয় তাহলে নামাজ-নষ্ট হয়ে জাবে,অন্যথায় নামাজ নষ্ট হবে না,তবে-ইচ্ছাকৃত এরূপ করা মাকরূহ।আর যদি সেজদার জায়গায় কষ্টদায়ক কোন কিছু থাকে যার কারণে সেজদা করতে অক্ষম হয় তখন তা হাত দিয়ে সরিয়ে দিবে। (হিন্দীয়া ১/১৫৯, ক্বাযীখান ১/৭৪) ০২ প্রশ্ন: মহিলারা বৈঠকের সময় কিভাবে বসবে, পুরুষদের মতই-নাকি তাদের থেকে ভিন্ন কোন পদ্ধতিতে ? উত্তর: মহিলারা বৈঠকের সময় পুরুষদের মত বসবেনা,বরং সে তার বাম নিতম্বের উপর বসবে এবং তার উভয়-পা ডান দিকে বের করে দিবে। ( হিন্দীয়া ১/১৩৩, রাহিমীয়া ৫/৭৫) ০৩ প্রশ্ন:নামাজে কেউ দুইবার সূ্রা ফাতেহা পড়ে ফেলে তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে কি না? উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে ও ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাজের প্রত্যেক রাকাআতে সূ্রা মিলানোর পূর্বে দুইবার সূ্রা ফাতেহা পড়ে তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।আর যদি সূ্রা মিলানোর পরে দ্বিতীয়বার প